চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। নাপোলির কাছে তাদের মাঠে গিয়ে হার ২-০ গোলে। নাপোলির হয়ে গোল করেছেন বেলজিয়ান তারকা ড্রিয়েস মার্তেন্স ও স্প্যানিশ তারকা ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে।
একই কাহিনির পুনরাবৃত্তি। একই চিত্রনাট্য, একই প্রেক্ষাপট। গতবারও গ্রুপপর্বেই নাপোলির মাঠে গিয়ে হেরেছিল লিভারপুল। এবারও একই ব্যাপার। গতবার যেমন লিভারপুলের প্রাণবন্ত আক্রমণভাগের শ্বাসরোধ করে রেখেছিল নাপোলি, এবারও একই পরিকল্পনায় লিভারপুলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। গোল করেছেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ড্রিয়েস মার্তেন্স ও স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে।
নাপোলির ছক ছিল ৪-৪-২। আর লিভারপুল সেই চিরচেনা ৪-৩-৩ ছকে। প্রথমার্ধে দুই দলই গোল করার সুযোগ পেয়েছে। ঘরের মাঠে খেলা বলে নাপোলি ছিল একটু বেশিই আক্রমণাত্মক। তবে মূল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের জায়গায় মাঠে নামা স্প্যানিশ তারকা আদ্রিয়ানের দৃঢ়তায় বেশ কয়েকবারই বেঁচে গেছে লিভারপুল। নাপোলির একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। সুযোগ নষ্ট করেছে লিভারপুলও। কখনো ডি-বক্সের মধ্যে মোহাম্মদ সালাহর অতিরিক্ত কারিকুরি করতে চাওয়ার প্রবণতা, বা কখনো সাদিও মানের বল নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার খেসারত দিয়েছে লিভারপুল। বাহবা দিতে হবে নাপোলির তরুণ গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেটকেও। লিভারপুলের বেশ কয়েকটি আক্রমণ তিনি ফিরিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই।
তবে সব বাদ দিয়ে ম্যাচটা একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল দুই দলের দুই কুশলী ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক ও কালিদু কুলিবালির লড়াই। এক দিকে মার্তেন্স-লোজানো বা ইনসিনিয়ার প্রায় সব আক্রমণ আটকে দিচ্ছিলেন ফন ডাইক; ওদিকে সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন কুলিবালির সামনে গিয়ে। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই দুই ডিফেন্ডারের লড়াইয়ে শেষমেশ কার্যত জয় হয়েছে কুলিবালিরই। অন্তত স্কোরলাইন সেটিই বলছে।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে লিভারপুলের লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের এক চ্যালেঞ্জে ডি বক্সের মধ্যে পড়ে যান নাপোলির উইঙ্গার হোসে কায়েহন। ফলাফল, পেনাল্টি। সে পেনাল্টিতে দলকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান তারকা মার্তেন্স। তবে পেনাল্টিটা আদৌ পেনাল্টি ছিল কি না, বা রবার্টসনের ট্যাকলটি অতটা ‘গর্হিত’ কিছু ছিল কিনা, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কাটাছেঁড়া। যে ধরনের ট্যাকলে সাধারণত পেনাল্টি দেওয়া হয় রবার্টসনেরটা ঠিক তেমন ছিল না। তবে রেফারির ভাবনা ছিল ভিন্ন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে একটা ‘সুবিধা’ পেয়ে যায় নাপোলি।
পেনাল্টিটিই লিভারপুলের খেলোয়াড়দের মন ভেঙে দিয়ে থাকবে। গোলটি হজম করেই কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন তারা। এলোমেলো ফুটবলের খেসারতও দিয়েছে ইয়ূর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইয়োরেন্তে গোল করে স্কোরলাইন সমৃদ্ধ করেন তিনি। নাপোলিও ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুটা একবারে নিজেদের করে নেয়।
আরেক ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ১-০ গোলে হেরেছে স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার কাছে। ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে গোল করেছেন স্প্যানিশ তারকা রদ্রিগো মোরেনো।
0 মন্তব্যসমূহ