চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন, পটাশিয়াম ও এন্টি অক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও চায়ের বিভিন্ন ঔষধি গুণ তো রয়েছেই। চায়ে পাওয়া যায় ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান। এ ফ্ল্যাভোনয়েডের ভেতর রয়েছে অনেক এন্টি অক্সিডেন্ট, এছাড়াও চায়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম ও ক্যাফেইন। ক্লান্ত শরীরের অলসতা দূর করে শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে এ পটাশিয়াম ও ক্যাফেইনের তুলনা হয় না। অন্যদিকে এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের হৃদরোগের ঝুঁঁকি কমাতে সাহায্য করে।মজার তথ্য হলো, ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ আমলে জনবহুল জায়গাগুলোতে ব্রিটিশ সরকার চায়ের ঔষধি গুণের নানা বিজ্ঞাপন লিখে আমাদের চা খাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। সে সময় ইংরেজরা ভারতীয়দের চা পান করার জন্য বিনা পয়সায় চা পান করাত ও চায়ের বিজ্ঞাপন দিত।
সে সময়কার চায়ের বিজ্ঞাপনগুলোতে লেখা থাকত চা পান করলে টাইফয়েড, কলেরা, বসন্ত, আমাশয়সহ নানা রোগের প্রতিকার হয়। পরবর্তী সময় গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করলে কলেরা-টাইফয়েড ভালো না হলেও এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ও দেহের কোষের ক্ষয়রোধ হয়। তবে আমরা যারা নিয়মিত চা খাই তাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন, দুধ চায়ের চেয়ে লাল চা শরীরের জন্য বেশি কার্যকরী। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে বলা হয়েছে, লাল চা পান করলে মানুষের রক্তনালি ও ধমনির কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়; কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে চায়ের সুফল অনেক কমে যায়, কারণ রক্ত পরিবহনতন্ত্রের জন্য চায়ের উপকারিতার বিপরীতে কাজ করে। অন্যদিকে দুধের প্রোটিন চায়ের এন্টি অক্সিডেন্টের সঙ্গে মিশে যায় বলে চায়ের বেশিরভাগ ঔষুধি গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই বলা যায়, দুধ চা পান করার চেয়ে লাল চা পান করাই শরীরের জন্য বেশি ভালো। তাই যারা চা পান করে শরীরে ঔষধি উপকার পেতে চান তারা অবশ্যই দুধবিহীন চা বা লাল চা পান করুন, সেইসঙ্গে চাঙ্গা শরীর ও মন নিয়ে সুস্থ থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ