শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের শুরুতেই নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে গতিশীল রাখাসহ জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিয়মিত বৈঠক হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে এই আয়োজন।
বৈঠকে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হলেও, প্রাধান্য পেয়েছে সাংগঠনিক বিষয়ের এজেন্ডা। এ সময়, আসছে অক্টোবরে বর্তমান কমিটির তিন বছর পূর্ণ হলেও সিদ্ধান্ত হয়, এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ২০ ও ২১ তারিখ।
বৈঠকের শুরুতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে সবসময়ই কাজ করে আসছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক দশকে আজকের বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সে দল ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের যে আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সংগঠিত ও গতিশীল রাখতে সময়মতো সম্মেলন সম্পন্নের নির্দেশনাও আসে দলীয় প্রধানের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের চাওয়া পূরণ করতে কাজ করতে হবে আমাদের। তৃণমূল থেকে শুরু করে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। এটাই হলো বাস্তবতা। আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠিত ও গতিশীল করতে হবে। সময়মতো সম্মেলন সম্পন্নের জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে সরকার গঠন করে জনগণের জন্য তাদের কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসারা জনগণের সরকার নয়।
0 মন্তব্যসমূহ